ওলকপি (ইংরেজি: Kohlrabi) কপি গোত্রের মধ্যে এক অন্যতম সবজি (ব্রাসিকা অলরেএসিয়া গঙ্গিলেডস গ্রুপ)। সাধারনত দুই ধরনের ওলকপি আছে। সাদাটে সবুজ এবং বেগুনি সবুজ। কাঁচা এবং রান্না রান্না করে খাওয়া যায়। স্টেম এবং পাতা উভয় দিয়ে তরকারি হিসাবে ব্যবহার হয়।[][][]

ওলকপি
ধরনতরকারি
অঞ্চল বা রাজ্যইউরোপ, আমেরিকা ও বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ
পরিবেশনপ্রধানত ভাত এবং রুটির সংগে
প্রধান উপকরণসবজি

পরিচিতি

সম্পাদনা

ওলকপি শীতের অন্যান্য সবজির চেয়ে শক্ত ধরনের সবজি। এটি ইউরোপীয় দেশগুলো ও বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে চাষাবাদ ও খাওয়া হয়। মূলত এটি বাঁধাকপির একটি বিশেষ প্রজাতি, কপি জাতীয় সবজি যেমন ব্রোকলি, ফুলকপি, পাতা-কপি, শালগম গোত্রের। কপির চেয়ে মোটামুটি শক্ত আবরণের মধ্যে বেড়ে ওঠে। সেদ্ধ হতে বেশ সময় নেয়। অনেকটা ব্রোকলির মত ও আপেলের মত কচকচে খেতে। পৃথিবীজুড়ে সালাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ হিসাবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। ইউরোপের কিছু দেশে গৃহপালিত পশুকে পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দিতে ওলকপি খাওয়ানো হয়।[]

জাত ও সময়

সম্পাদনা

কয়েকধরনের ওলকপির চাষ। উল্লেখযোগ্য- মিরাকেল, অনুপম, এক্সপ্রেস মল্লিকা এফ-১, আর্লি মল্লিকা এফ-১, বাম্পার হারভেস্ট এফ ১, নিমজিন এফ-১, ক্রান্তি এফ-১, ইউনিক বল এফ-১, নিমাজিন এফ-১ ইত্যাদি। ওলকপির হালকা সবুজ রঙের জাত আর্লি হোয়াইট ভিয়েনা এবং বেগুনি রঙের জাত আর্লি পার্পল ভিয়েনা। []

পুষ্টিগুণ

সম্পাদনা

ওলকপির অনেক পুষ্টিগুণ। ক্যান্সার প্রতিরোধ, ওজন কমানো, হজম শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, হাড় মজবুত, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা সহ দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুর কার্যকরীতা ও মাংসপেশি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ এবং ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও ভিটামিন এ আছে। এছাড়াও ডায়েটারি ফাইবার এবং ফাইটোকেমিকেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন ক্যারোটিন পাওয়া যায়। গ্রুকোসিনোলেটস রাসায়নিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো স্তন ও প্রোস্টেট সহ সব রকম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।[]

অপকারিতা

সম্পাদনা

ওলকপির থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি হতে পারে। তবে বিরল ক্ষেত্রে অ্যালার্জির জন্য অস্বস্তির কারণ পারে। অ্যালার্জি রোগীরা অথবা যাদের খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওলকপি খেতে হবে। স্বাভাবিক মানুষদের ওলকপি খেতে কোনও বাধার কিছু নেই। ভগ্ন স্বাস্থ্যবানদের জন্য বেশি উপকারী।[]

চিত্রশালা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ওলকপি"জাতীয় কৃষি বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪ 
  2. "মেহেরপুরে ওলকপি চাষ করে লাভবান কৃষক"চ্যানেল আই অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪ 
  3. "ওলকপি দিয়ে মুরগির মাংস"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ২০১৯-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪ 
  4. "অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার নয়"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪ 
  5. "শীতের সবজি ওলকপি না খেলে যেসব উপকারিতা বঞ্চিত হবেন"DEHO। ২০১৯-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  NODES
Done 1