চকলেট বলতে নানা প্রকার প্রাকৃতিক ও প্রক্রিয়াজাত খাবারকে বোঝায় যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কোকোয়া গাছের বীজ থেকে উৎপাদন করা হয়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকার নিম্নভূমির স্থানীয় উদ্ভিদ কোকো অন্তত তিনশ' বছর মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোতে চাষ করা হচ্ছে, এবং এর ব্যবহারের সবচেয়ে পুরনো লিখিত প্রমাণ হল ১১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। বেশিরভাগ মেসোআমেরিকান লোকজনই চকলেট পানীয় তৈরি করত, যার মধ্যে আছে মায়াআজটেকরা, যারা xocolātl নামে একটি পানীয় তৈরি করেছিল, নাহুয়াতি ভাষায় যে শব্দটির মানে দাঁড়ায় তেতো পানীয়। কোকো গাছের বীজের তীব্র তেতো স্বাদ আছে, তাই চকলেটের স্বাদগন্ধ (flavor) তৈরি করবার জন্যে অবশ্যই একে গাঁজিয়ে নিতে হয়।

চকলেট সাধারণত গাঢ়, দুধেল ও সাদা প্রকতির হয়, যেখানে কোকোর টুকরো বাদামি এর রংটি সৃষ্টি করে।

চকলেট পৃথিবীর জনপ্রিয়তম ফ্লেভারগুলোর একটি। বিভিন্ন পালাপার্বণে হরেক রকম চকলেট উপহার দেবার রীতি চালু আছে: ঈস্টার পরবে চকলেটের খরগোশ ও ডিম উপহার খুবই জনপ্রিয়, চকলেটের মুদ্রা হানুক্কাহ, সান্তা ক্লজ ও ক্রিসমাসের অন্যান্য উৎসব প্রতীক, এবং ভালোবাসা দিবসে চকলেটের হৃদয়। চকলেট ঠান্ডা ও গরম পানীয়, চকলেট দুধ এবং হট চকলেট প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। চকলেট ছোট বড় সকল বয়সী মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়৷

চকলেটের ইতিহাস

সম্পাদনা

অত্যন্ত প্রিয় এই খাদ্যটির উৎস হল আজ থেকে প্রায় ২৭৩ বছর আগে। বিজ্ঞানীরা এক বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ এর নাম দিয়েছিলেন "ক্যাক্যাও"। মূলত উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে জন্মানো এই উদ্ভিদের বাসস্থান ছিল আমাজন এর ঘন জঙ্গলে। এই ফলের পাকা বীজ প্রাথমিক অবস্থায় তেতো হয়। ফারমেনট করা ওই বীজগুলি কে শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর ওইগুলিকে রোলারের সাহায্যে পেষা হয়। বীজের ভেতরে যে স্নেহজাতীয পদার্থ আলাদা করে সেখান থেকে কোকা পাউডার আলাদা করে নেওয়া হয়। যা থেকে পড়ে তরল চকোলেট পাওয়া যায়।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
  NODES