নিতম্ব বা পশ্চাৎদেশ বা পাছা হলো মানবদেহের পশ্চাৎভাগে কটিদেশ (কোমর) এবং দুই পায়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত মাংসল অংশবিশেষ। দুটি নিতম্বের খাঁজে মধ্যবর্তী অংশে থাকে পায়ুপথ যা মানুষের পরিপাক তন্ত্রের সর্বশেষ অংশ। বয়ঃসন্ধির সাথে সাথে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রবাহিত হওয়ার কারণে নারীর নিতম্ব আকারে বৃদ্ধি পায় এবং সমুন্নত হয়ে ওঠে। সাধারণত নিতম্বের বিশেষ কোনো কার্য শরীরে নেই কিন্তু সোজা হয়ে বসে থাকার ক্ষেত্রে মাংসল নিতম্ব সাহায্য করে।

মানুুষের নিতম্ব
নারীর নিতম্ব
বিস্তারিত
ধমনীsuperior gluteal artery, inferior gluteal artery
স্নায়ুsuperior gluteal nerve, inferior gluteal nerve, superior cluneal nerves, medial cluneal nerves, inferior cluneal nerves
শনাক্তকারী
লাতিনClunis
মে-এসএইচD002081
টিএ৯৮A01.1.00.033
A01.2.08.002
টিএ২157
এফএমএFMA:76446
শারীরস্থান পরিভাষা
 
নিতম্ব পেশীকে মানব শারীরবিজ্ঞানের পরিভাষায় গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস নামে নামকরণ করা হয়।
পেশি উৎপত্তি সন্নিবেশ স্নায়ু কাজ
গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস এটি ইলিয়ামের পশ্চাৎ গ্লুটিয়াল রেখা,ক্রেস্ট;স্যাক্রামের পশ্চাৎ পৃষ্ঠের নিম্নদেশ ও কক্কিক্সের পাশ থেকে উঠে এসেছে।এখানে কিছু তন্তু আছে যা তীর্যকভাবে নিম্ন ও পার্শবর্তী দিকে নির্দেশিত।

গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাসের সন্নিবেশ দুই জায়গায় ৷উপর ও বড় অংশ গঠনকারী পেশী নিচের সুপারফিশিয়াল তন্তু সহ বৃহৎ ট্রক্যান্টার অতিক্রম করে ইলিওটিবিয়াল ট্র্যাক্টে সন্নিবেশিত হয়। নিচের ডিপ(Deep) তন্তু গ্লুটিয়াল টিউবারোসিটিতে সন্নিবেশিত হয় | ইনফেরিয়র গ্লুটিয়াল স্নায়ু ||

গ্লুটিয়াস মিডিয়াস সুপেরিয়র গ্লুটিয়াল স্নায়ু
গ্লুটিয়াস মিনিমাস সুপেরিয়র গ্লুটিয়াল স্নায়ু

যৌনতার ক্ষেত্রে ভূমিকা

সম্পাদনা

নিতম্ব মানবদেহের একটি যৌনসংবেদী ও কামোদ্দীপক অঙ্গ। নারীর নিতম্ব চিরকাল পুুরুষকে আকর্ষণ করেছে এবং কামনার জন্ম দিয়েছে। প্রাচীন ভারতের কামসূত্রে আকর্ষণীয় (সুডৌল) নিতম্ব বিশিষ্ট নারীদেরকে নিতম্বিনী বলা হতো।[] আদি যুগ থেকে আধুনিক যুগ অবধি নিতম্ব বিশেষ করে পুরুষ চিত্রশিল্পীদের হাতে নানাভাবে অঙ্কিত হয়েছে। নারী-পুরুষের মিলনকালে পুরুষ নারীর নিতম্ব আঁকড়ে ধরে বিশেষ সুখানুভব করে।[] নিতম্ব দেখে উত্তেজিত হয়ে মানুষের পায়ুকামে লিপ্ত হওয়ার কামনা জাগতে পারে।[][]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Sir Richard Burton's English translation of Kama Sutra"। Sacred-texts.com। ২৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১১ 
  2. Hennig, Jean-Luc (১৯৯৫)। The rear view: A brief and elegant history of bottoms through the ages। London: Souvenir। আইএসবিএন 0-285-63303-1 
  3. "Anal Sex Safety and Health Concerns"WebMD। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৯, ২০১৩ 
  4. Barry R. Komisaruk, Beverly Whipple, Sara Nasserzadeh, Carlos Beyer-Flores (২০০৯)। The Orgasm Answer GuideJHU Press। পৃষ্ঠা 108–109। আইএসবিএন 978-0-8018-9396-4। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৬, ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
  NODES