তীর-ধনুক
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
তীর-ধনুক হচ্ছে এক ধরনের নিক্ষেপণযোগ্য অস্ত্র যা নথিভুক্ত মানব ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন অস্ত্র-শস্ত্রের মধ্যে একটি। প্রায় সকল সংস্কৃতিতেই তীর-ধনুকের উল্লেখ পাওয়া যায়। এটির প্রয়োগ কৌশল, চর্চা এবং দক্ষতা ধনুর্বিদ্যা নামে পরিচিত। যে তীর-ধনুক ব্যবহার করে তাকে বলা হয় ধানুকী, ধনুর্ধর।
বিবরণ
সম্পাদনাধনুক হলো এক নমনীয় অর্ধবৃত্তাকৃতিক চাপ যার মাধ্যমে তীর নামক বায়ু-অভিক্ষেপ ছোড়া হয়। জ্যা বা ছিলা অর্থাৎ একটি দড়ির মাধ্যমে ধনুকের উভয় প্রান্তকে সংযুক্ত করা হয়। জ্যা ধরে টান দিলে ধনুকটি বেঁকে যায় এবং এর মধ্যে জমা হয় স্থিতিস্থাপক শক্তি। পরে জ্যা ছেড়ে দিলে ধনুকটির স্থিতি শক্তি রূপান্তরিত হয় তীরের গতিশক্তিতে।[১] যেভাবে ধনুক থেকে তীর ছুড়তে হয় তার কৌশলকে বলে ধনুর্বিদ্যা।[২]
আজকাল প্রধানত শিকার এবং খেলাধুলাতেই তীর-ধনুক ব্যবহৃত হয়। যদিও এখনো মাঝে মাঝে তাদেরকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে বারুদ ও বন্দুকের উন্নয়ন এবং ক্রমবর্ধমান সেনাবাহিনীর কারণে বেশ কয়েক শতক আগেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তীর-ধনুক বর্জন করেছে।
যিনি ধনুক তৈরি করেন তাকে বলা হয় বোইয়ার (ইংরেজি: Bowyer),[৩] এবং যিনি তীর প্রস্তুত করেন তাকে বলা হয় ফ্লেচার (ইংরেজি: Fletcher)।[৪][৫]