শস্য (ফসল)

সহজে চাষযোগ্য উদ্ভিদ এবং প্রাণী সম্পদ

শস্য (ইংরেজি: Crop) বলতে চাষাবাদযোগ্য উদ্ভিদ অথবা কৃষিজাত উৎপাদিত পণ্যকে বুঝায়। বীজ, শাকসব্জি কিংবা ফলমূল - এগুলো সবই শস্যরূপে বিবেচিত। কৃষির সাথে সম্পৃক্ত কৃষক শস্য উৎপাদন করে থাকেন। উৎপাদিত শস্য কৃষিজাত পণ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একই ধরনের উৎপাদিত বৃহৎ পরিমাণের খাদ্যসম্ভার, কাপড়-চোপড় ইত্যাদি তৈরীতে সহায়ক উদ্ভিদকূলকে শস্য নামে অভিহিত করা হয়। শস্য মূলতঃ অ-প্রাণীজাত প্রজাতি কিংবা বিভিন্ন উদ্ভিদজাত ফসল যা খাদ্য, গবাদিপশুর শুকনো খাদ্য, জ্বালানী কিংবা অন্য কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্যে উৎপাদন করা হয়।

কৃষকের উৎপাদিত শস্য চিত্র

প্রকারভেদ

সম্পাদনা
 
বাংলাদেশের একটি ধানক্ষেত। ধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল

বিশ্বের প্রধান প্রধান শস্যের মধ্যে রয়েছে - আখ, কুমড়া, ভুট্টা, গম, গম, কাসাভা, সয়াবিন, ধান, আলু, তুলা প্রভৃতি।[] সাধারণতঃ শস্য পরিভাষাটি উদ্ভিদকূলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এছাড়াও, জীববিজ্ঞানের অন্যান্য রাজ্যের প্রজাতির ক্ষেত্রেও শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে শিটেক ছত্রাকজাতীয় রাজ্যের মাশরুম শস্য হিসেবে বিবেচিত। কিছু শৈবালজাতীয় প্রজাতির উদ্ভিদও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে, যদিও এগুলো প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। মানুষের তত্ত্বাবধানে প্রাণীজগতের জন্য উৎপাদিত খাবার গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। রোগ-জীবাণু বিস্তারকারী প্রজাতির অণুজীব হিসেবে ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ভাইরাস পুনরায় উৎপাদনের জন্য গবেষণাগার ব্যবহার করা হয়। এধরনের অণুজীবগুলো খাবার উপযোগী না হলেও খাদ্য তৈরীতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। যেমন : ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে দুধকে দইয়ে রূপান্তরের কাজে ব্যবহার করা হয়।

ভারতবর্ষে উৎপাদনের ভিত্তিতে শস্যকে খারিফ বা হৈমন্তিক ফসল এবং রবি শস্য নামে বিভাজিত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Food and Agriculture Organization of the United Nations, Statistics Division (২০০৯)। "Maize, rice and wheat : area harvested, production quantity, yield"। ১৯ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১২ 
  NODES