হাইতি
হাইতি (/ˈheɪti/ ( ) HAY-tee; ফরাসি: Haïti [a.iti]; হাইতীয় ক্রেওল: Ayiti [ajiti]), আনুষ্ঠানিকভাবে হাইতি প্রজাতন্ত্র (ফরাসি: République d'Haïti, হাইতীয় ক্রেওল: Repiblik d Ayiti) এবং পূর্বে হায়টি নামে পরিচিত, এটি ক্যারিবীয় সাগরে বৃহত্তর অ্যান্টিলিস দ্বীপপুঞ্জ হিস্পানিওলা দ্বীপের একটি দেশ, পূর্বে কিউবা এবং জ্যামাইকা, এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জ এবং টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে। এটি দ্বীপের পশ্চিমের তিন-অষ্টমাংশ দখল করে যা এটির সাথে ভাগ করে নেয় ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সাথে ভাগ করে নেয়। ১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটিই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিল। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে। পর্তোপ্রাঁস দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
হাইতি প্রজাতন্ত্র | |
---|---|
নীতিবাক্য: "Liberté, égalité, fraternité" (ফরাসি)[১] কুলচিহ্নে নীতিবাক্য:"Libète, Egalite, Fratènite" (হাইতীয় ক্রেওল) "স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ব" "L'union fait la force" (ফরাসি) "Inite se fòs" (হাইতীয় ক্রেওল)[২] "Union makes strength" | |
জাতীয় সঙ্গীত: La Dessalinienne (ফরাসি) Desalinyèn (হাইতীয় ক্রেওল) "The Dessalines Song" | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | পর্তোপ্রাঁস ১৮°৩২′ উত্তর ৭২°২০′ পশ্চিম / ১৮.৫৩৩° উত্তর ৭২.৩৩৩° পশ্চিম |
সরকারি ভাষা | |
নৃগোষ্ঠী | ৯৫% আফ্রো-হাইতীয় ৫% মিশ্র ও ইউরোপীয় হাইতীয়[৩] |
ধর্ম |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | হাইতীয় |
সরকার | এককেন্দ্রিক আধা-রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্র |
আরিয়েল অঁরি (ভারপ্রাপ্ত) | |
আরিয়েল অঁরি (ভারপ্রাপ্ত) | |
আইন-সভা | সংসদ |
• উচ্চকক্ষ | সেনেট |
চেম্বার অব ডেপুটিজ | |
স্বাধীনতা, ফ্রান্স হতে | |
• ঘোষণা | ১ জানুয়ারি ১৮০৪ |
• স্বীকৃতি | ১৭ এপ্রিল ১৮২৫ |
২২ সেপ্টেম্বর ১৮০৪ | |
• দক্ষিণী প্রজাতন্ত্র | ৯ মার্চ ১৮০৬ |
• নর্দান স্টেট | ১৭ অক্টোবর ১৮০৬ |
২৮ মার্চ ১৮১১ | |
• হিস্পানিওলার সাথে একীভূতকরণ | ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮২২ |
• বিভক্তি | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৪ |
২৬ আগস্ট ১৮৪৯ | |
• প্রজাতন্ত্র | ১৫ জানুয়ারি ১৮৫৯ |
২৮ জুলাই ১৯১৫ – ১ আগস্ট ১৯৩৪ | |
২৯ মার্চ ১৯৮৭ | |
আয়তন | |
• মোট | ২৭,৭৫০ কিমি২ (১০,৭১০ মা২) (১৪৩তম) |
• পানি (%) | ০.৭ |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৮ আনুমানিক | ১১,৪৩৯,৬৪৬[৫][৬] (৮৫তম) |
• ঘনত্ব | ৩৮২/কিমি২ (৯৮৯.৪/বর্গমাইল) (৩২তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | $৩৪.১৮৯ বিলিয়ন[৭] (১৪৪তম) |
• মাথাপিছু | $২,৯৬২[৭] (১৭৪তম) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | $২২.৪৩১ বিলিয়ন[৭] (১৩৯তম) |
• মাথাপিছু | $১,৯৪৩[৭] (১৭২তম) |
জিনি (২০১২) | ৪১.১[৮] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | ০.৫১০[৯] নিম্ন · ১৭০তম |
মুদ্রা | গৌর্দে (G) (HTG) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি−৫ (ইএসটি) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি−৪ (ইডিটি) |
গাড়ী চালনার দিক | ডান |
কলিং কোড | +৫০৯ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ht |
এই পাহাড়ি দেশটি একসময় অরণ্যে আবৃত ছিল। বেশির ভাগ গাছই কেটে ফেলা হয়েছে, যার ফলে মৃত্তিকার ক্ষয় ঘটেছে। পল্লী অঞ্চলে কৃষকেরা পাহাড়ের পাদদেশে ক্ষুদ্রাকার জমিতে চাষবাস করে। অপুষ্টি ও বেকারত্ব হাইতির বড় সমস্যা।
সমগ্র ইতিহাস জুড়ে হাইতির জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে আছে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণী, যারা বেশির ভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে আছে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণী যাদের কোন ক্ষমতা নেই। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
হাইতির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস দীর্ঘ। দেশটিতে অনেকগুলি স্বৈরশাসক শাসন করেছেন। এদের মধ্যে ফ্রঁসোয়া দুভালিয়ে-র নাম উল্লেখযোগ্য। ২১শ শতকের প্রারম্ভে এসে হাইতি একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
ইতিহাস
সম্পাদনারাজনীতি
সম্পাদনাপ্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
সম্পাদনাভূগোল
সম্পাদনাঅর্থনীতি
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। |
জনসংখ্যা
সম্পাদনাসংস্কৃতি
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Article 4 of the Constitution"। Haiti-reference.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "After The Group Of G8, Now Come G30 Headed By Louko Desir"। Haiti Observer। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Haiti"। CIA। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Religions in Haiti | PEW-GRF"। www.globalreligiousfutures.org। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ ""World Population prospects – Population division""। population.un.org। United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ ""Overall total population" – World Population Prospects: The 2019 Revision" (xslx)। population.un.org (custom data acquired via website)। United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "Haiti"। International Monetary Fund। এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Gini Index"। The World Bank। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Human Development Report 2020 The Next Frontier: Human Development and the Anthropocene (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০। পৃষ্ঠা 343–346। আইএসবিএন 978-92-1-126442-5। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।